রাজধানীর পৃথক থানার তিন মামলায় গান বাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার (৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াক তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
অন্য যাদের নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাঁরা হলেন—নিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুস সালাম, দৈনিক সরেজমিন বার্তার সাংবাদিক সিকদার লিটন ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী আশা আক্তার।
চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা পৃথক পৃথকভাবে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করে প্রত্যেককে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আব্দুস সালামের মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছর ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সাইন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ আগস্ট বিকেলে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তাপসের মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাইগুলশানের শাহজাদপুরের কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে জব্বার আলী হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
আশা আক্তার ও সিকদার লিটনের মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে গত ২০ জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মো. জাহাঙ্গীর। এদিন দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে ২১ জুলাই মারা যান। এ ঘটনায় এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় তাঁদের আটক করা হয়। পরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।